মিড ডে মিল এর বরাদ্দ করা চাল আলু বিতরণ হয়নি : প্রধান শিক্ষককে আটকে বিক্ষোভ

7th December 2020 7:02 pm বাঁকুড়া
মিড ডে মিল এর বরাদ্দ করা চাল আলু বিতরণ হয়নি : প্রধান শিক্ষককে আটকে বিক্ষোভ


দেবব্রত মন্ডল ( বাঁকুড়া ) :  গত নভেম্বর মাস থেকে ছাত্র ছাত্রীদের মিড ডে মিলের চাল না পাওয়ার অভিযোগ তুলে প্রধান শিক্ষককে আটকে রেখে বিক্ষোভ দেখালেন অভিভাবকরা। বাঁকুড়া-২ নম্বর ব্লকের মগরা হাই স্কুলের ঘটনা। 

   স্থানীয় সূত্রে খবর, করোনা পরিস্থিতিতে দীর্ঘদিন রাজ্যের সব কটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ। এই অবস্থায় রাজ্য সরকারের নির্দেশে স্কুল বন্ধ থাকাকালিন ছাত্র ছাত্রীদের মিড ডে মিল সরবরাহ অব্যাহত রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়। কিন্তু মগরা হাই স্কুলে সেই সরকারী নির্দেশ অমান্য করে গত নভেম্বর মাস থেকে ঐ চাল, আলু দেয়নি। সোশ্যাল মিডিয়ায় বিজ্ঞপ্তি দিয়ে সোমবার মিড ডে মিলের চাল, আলু দেওয়ার কথা জানালেও নির্দিষ্ট সময়ে কোন শিক্ষক আসেননি। অভিভাবককরা ফোন করলে অনেক পরে প্রধান শিক্ষক স্কুলে আসেন। কিন্তু তিনি আলু নয়, শুধু চাল দেওয়ার কথা বললে বিক্ষোভে ফেটে পড়েন উপস্থিত অভিভাবকরা। গত নভেম্বর মাস থেকে মিড ডে মিলের খাবার না পাওয়ার অভিযোগ তুলে তারা প্রধান শিক্ষক মুকেশ পাত্রকে আটকে রেখে বিক্ষোভ দেখান।

অভিভাবক তারকনাথ কর্মকার, আলোক নাথ কর্মকার, স্বপন কর্মকাররা প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে মিড ডে মিল সহ একরাশ অভিযোগ তুলে তার অপসারণ দাবি করেছেন।

  স্থানীয় এডুকেশান সুপার ভাইজার সোমা দত্ত বলেন, প্রধান শিক্ষক মিড ডে মিলের খাবার বিতরণ হয়ে গেছে বলে আমাদের জানিয়েছেন। এখন অভিভাবকদের অভিযোগ ভিন্ন। বিষয়টি তিনি অবর বিদ্যালয় পরিদর্শককে জানাবেন বলে জানান। 

  প্রধান শিক্ষক মুকেশ পাত্রের দাবি, মৌখিকভাবে বিষয়টি অবর বিদ্যালয় পরিদর্শককে জানানো আছে। যে চাল বিলি হয়নি তা স্কুলেই মজুত আছে বলে তিনি দাবি করেন।

 





Others News

মল্লরাজ ভূমিতে তোপধ্বনিতে অষ্টমীর সন্ধিক্ষণ : পুজো ঘিরে উন্মাদনা

মল্লরাজ ভূমিতে তোপধ্বনিতে অষ্টমীর সন্ধিক্ষণ : পুজো ঘিরে উন্মাদনা


দেবব্রত মন্ডল ( বাঁকুড়া ) : তোপধ্বনি তে কেঁপে উঠল বিষ্ণুপুর । শুরু হল মল্ল রাজাদের ১০২৫ বছরের অষ্টমী পূজোর সন্ধিক্ষণ।

প্রাচীণ ঐতিহ্য ও পরম্পরা মেনে আজও নিষ্ঠাভরে বিষ্ণুপুর রাজ বাড়িতে দেবী দুর্গা 'মৃন্ময়ী নামে পূজিতা হন। জানা গিয়েছে, পূর্ব প্রথা মতোই প্রাচীণ রীতি মেনে মহাষ্টমীর সন্ধিক্ষণে কামান দাগার মধ্য দিয়ে বিষ্ণুপুর রাজ বাড়িতে শুরু হয়ে গেল 'বড় ঠাকরুনে'র পুজো। তবে এবার করোনা পরিস্থিতির মধ্যেও দর্শক সাধারণের উপস্থিতি ছিল বাঁধভাঙ্গা। সরকারী নিয়মকে মান্যতা দিয়ে স্বাস্থ্যবিধি মেনে শুরু হয়েছে দেবী বন্দনা। এমনকি এখানে কামান দাগার পর্বেও অন্যান্য বছরের তুলনায় এ বছরে অল্প সংখ্যক লোককে নিয়ে ঐ কাজ সম্পূর্ণ করা হয়েছে।

শুরুর সময় থেকে অষ্টমীর সন্ধিক্ষণ ঘোষণা করা হয় বড় কামানের গর্জনের শব্দে। যার আওয়াজে রাজবাড়িতে আরতি নৃত্যও শুরু হয়ে যায়।